বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটি।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নীতিনির্ধারকসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম প্রমুখ। শ্রদ্ধা জানানোর পর পর জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও করা হয়।
সকাল থেকেই বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে জড়ো হন। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি রাজধানীসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সেই ধারাবাহিকতায় দলটিরপক্ষ থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বেলা ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবে দলটি। র্যালিটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়, নটরডেম কলেজ, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হবে।
র্যালিতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতে ইতোমধ্যে দলের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের আগের এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে বিপুল উপস্থিতির মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিতে চাইছেন। সেখান থেকে সরকারকেও বিশেষ বার্তা দিতে চান তারা। এছাড়াও সারাদেশে ইউনিটগুলোকে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৭৬ সালে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। এরপর ১৯৭৭ সালে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগ দল) প্রতিষ্ঠা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ছিলেন এই দলের সমন্বয়ক। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাগ দল বিলুপ্ত করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জিয়াউর রহমান হন দলের চেয়ারম্যান। ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান বিপথগামী সেনাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এরপর দলের সভাপতি নির্বাচিত হন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসন চলাকালে ১৯৮৪ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।